OrdinaryITPostAd

কোন ভিটামিনের অভাবে আপনার শরীর দুর্বল অনুভূত হয়

আপনি কি শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন? আপনার ত্বক টি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে? এলার্জি সমস্যা সহ চুলকানি হয়ে থাকে। এগুলো আবার ভিটামিনের অভাবে হচ্ছে না তো। জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। ভিটামিন আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় একটি উপাদান যার অভাবে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজকের এ আর্টিকেলটিতে আমরা ভিটামিনের অভাবে শারীরিক কিছু সমস্যা তুলে ধরব।

ছবি

আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে এলার্জির মতো সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং আরো জানতে পারবেন কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। তাই সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

পোস্ট সূচীপত্রঃকোন ভিটামিনের অভাবে আপনার শরীর দুর্বল অনুভূত হয়

ভূমিকা

আমাদের শরীরের সুস্থতা নির্ভর করে ভিটামিনের এবং খনিজের উপর। কিন্তু যদি এই ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে যেমন ত্বক সুস্থ হয়ে যাওয়া, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, এলার্জি সমস্যা ও চুলকানির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া ভিটামিন ও খনিজের অভাবে আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

এই শারীরিক সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার যুক্ত করা উচিত যেগুলো থেকে আমরা প্রয়োজনে পরিমাণ ভিটামিন পেয়ে থাকি। আজকের এ আর্টিকেলটিতে আমরা এ সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনার উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণ গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন অথবা আপনার খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনীয় খাবার গুলো যুক্ত করতে পারেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়

যদিও ত্বক শুষ্ক হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে কিন্তু আপনার শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজির মতে অতিরিক্ত ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি।


আপনার শরীর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি,ভিটামিন বি,ভিটামিন এ, নিয়াসিন, জিংক বা আয়রনের ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে আপনার আফসুস্ক হয়ে যাওয়ার মত সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ভিটামিনের কারণে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই সম্পূর্ণ বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভিটামিন বি: শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। যার কারনে মুখে ব্রণ,বলিরেখা দাগ বা ঠোঁট সুস্থ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা গুলো দেখা দেয়। শরীরে ভিটামিন বি এর অভাব পূরণের জন্য আপনি খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি,ফলমূল ও মোটা শস্য যুক্ত করতে পারেন। এগুলো আপনার ভিটামিন বি এর অভাব কে পূরণ করতে সাহায্য করবে।

ভিটামিন সি: আমাদের ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে এবং ত্বকের শুষ্কতা কমে আনতে ভিটামিন সি অত্যন্ত জরুরী। আপনার শরীরে যদি ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে আপনার ত্বক শুষ্ক হতে পারে। আপনার শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে টক জাতীয় ফল যেমন কমলালেবুর রস, আমলকি, জলপাই ইত্যাদি ফল খেতে পারেন এছাড়াও আপনার খাদ্য তালিকায় ডিম ও মাছ যুক্ত করতে পারেন। এগুলো ভিটামিন সি এর অভাবে ত্বক সুস্থ হয়ে যাওয়া দূর করবে।

ভিটামিন ডি: শারীরিক সমস্যাগুলো দূর করার পাশাপাশি ভিটামিন ডি আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনার শরীরে পানির পরিমাণ কমে আসতে পারে এবং আপনার ত্বক শুষ্ক হতে পারে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার যুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড: আপনার শরীরে যদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড অভাবে ত্বক ফুলে যাওয়া,চুলকানি কিংবা কালচে দাগ দেখা দিতে পারে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ অ্যাভোকেডো ও আখরোট ইত্যাদি যোগ করতে হবে এগুলো আপনার ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড অভাবের সমস্যাকে দূর করবে।

কোলাজেন: পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে খোলা জনের অভাবেও ত্বক সুস্থ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যাগুলো দেখা দেয়। মূলত কোলাজেন এক ধরনের প্রোটিন যা আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য কার্যকারী।

ভিটামিন ই: ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই থাকা আবশ্যক। ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয় এটি আমাদের ত্বকের ক্ষতিকারক ফ্রী রেডিক্যাল গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি কোষের কার্যকারিতা গুলো বাড়িয়ে তুলতে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।


ভিটামিন ই এর অভাবে আপনার ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে এছাড়াও ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বকের জ্বালা প্রদান ও প্রদাহ সমস্যা সৃষ্টি হয়। যদি আপনার শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হয়ে থাকে তাহলে আপনার ত্বক বিবর্ণ ও ফ্যাকাশে দেখাতে শুরু করবে। তাই ভিটামিন ই এর অভাবের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো দূর করতে আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করুন।

ভিটামিন এ: ভিটামিন এ এর অভাবের কারণেও আপনার ত্বক রুক্ষ,খসখসে ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা গুলো দেখা দেয়। এছাড়া ব্রণ বা সোরিয়াসিসের রোগীদের বেশি পরিমাণ ভিটামিন এ দরকার হয়। আপনার শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ করতে সবুজ হলুদ শাকসবজি,ফলমূল,ডিম,দুধ ও কলিজা যুক্ত করতে পারেন।

যদিও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মূল কারণ ভিটামিন সি কে ধরা হয় কিন্তু এ সকল ভিটামিন গুলোর অভাবেও আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি-১২।

ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ভিটামিন ডি এর নিজস্ব কিছু কাজ রয়েছে যা আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসকে শোষণ করে পাশাপাশি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি চর্বিতে দ্রবণীয় এবং এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি১, ডি২, ডি৩ যা আমাদের দাঁতের ও হাড়ের ক্ষয়কে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুললে সাহায্য করে। ভিটামিন  ডি এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমন:

  1. মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া
  2. বিষন্নতা অনুভব হওয়া
  3. হাড়ের ফাটল দেখা দেওয়া
  4. দাঁত ভাঙ্গার সমস্যা
  5. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা
  6. ক্লান্তি ও অবসাদ গ্রস্থ থাকা
এছাড়াও ভিটামিন ডি এর অভাবে আরো বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন, দুগ্ধজাত খাবার যুক্ত করতে পারেন, গরু ও বা খাসির কলিজা ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। এছাড়াও কড লিভার বা মাছের তেল যুক্ত করতে পারেন।


এছাড়াও সূর্যের আলো থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় ‌ প্রতিদিন সকালে সূর্যের মিষ্টি আলোতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে। আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর অভাব থেকে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট বা ট্যাবলেট গ্রহণ করতে পারেন।

ভিটামিন বি ১২:ভিটামিন বি ১২ একটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। যা আমাদের শরীরে সরাসরি তৈরি হয় না কিন্তু এর বিভিন্ন কাজ রয়েছে। যেমন আমাদের ডিএনএ তৈরি করতে এবং লাল রক্ত কোষ গঠনে এর ভূমিকা অতুলনীয়।ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে আপনার দুর্বলতা অনুভব হতে পারে এছাড়াও মাথা ঘুরার প্রবণতা,ভুলে যাওয়ার প্রবণতা,দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতার মত সমস্যাগুলো দেখা দেয়।

এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন বি ১২ ভিটামিনের অভাবে রক্তস্বল্পতার মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যার কারণে রোগী দুর্বল অনুভব করে এবং অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত ও হাঁপিয়ে ওঠে। এমনকি বুক ধড়ফর করার মত সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিন বি ১২। সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করা কিংবা শরীর দুর্বল অনুভব হওয়া ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির অন্যতম লক্ষণ।

এছাড়াও ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে আমাদের শরীরে লাল রক্ত কোষগুলো তৈরি হয় না যার কারণে শরীরের অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয় এমনকি দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া চোখে ঝাপসা দেখার মত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হতে দেখা দেয়। ত্বক থাকাতে হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে ভিটামিন বি ১২।

তাই এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের জন্য আপনাকে দুগ্ধ জাত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ডিম মাশরুম এবং বিভিন্ন ধরনের মাংস ও কলিজা ছাড়াও সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সাধারণত এই ভিটামিন টি প্রাণিজ খাবারে বেশি পাওয়া যায়। তাই আপনার শরীরের দুর্বলতা দূর করতে খাদ্য তালিকায় উপরোক্ত খাবারগুলো যুক্ত করুন।

কোন ভিটামিনের অভাবে এলার্জি বা চুলকানি হয়

শরীরে চুলকানি বা এলার্জির সমস্যা বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। কোন খাবার থেকে এলার্জি হতে পারে কিংবা পোকামাকড়ের খামারের কারণেও শরীরে চুলকানি বা এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলোর অভাবে আপনার চুলকানি বা এলার্জি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে যাদের অতিরিক্ত চুলকানি বা এলার্জি সমস্যা রয়েছে কিংবা টক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাদের অন্যতম কারণ হচ্ছে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের  ঘাটতি। শরীরে চুলকানি কিংবা এলার্জির অন্যতম কারণ হচ্ছে ৫ ভিটামিনের অভাব। যেমন:

ভিটামিন এ: ভিটামিন ডি আমাদের ত্বকের ডেড সেল গুলোকে দূর করতে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। কিন্তু ভিটামিন এ এর অভাবে আপনার শরীর থেকে মৃত কোষ গুলো দূর হয় না যার কারণে একজিমা কিংবা প্রদাহের মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি আপনার অতিরিক্ত চুলকানি কিংবা এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়।

তাই ভিটামিন ডি এর অভাব কে পূরণ করতে আপনাকে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি,ফলমূল,মাছ,মাংস,ডিম,দুধ গম ও সয়াবিন যুক্ত করতে হবে এগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ পাওয়া যায় যেগুলো আপনার ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। এবং আপনাকে এলার্জি বা চুলকানির মত সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিবে।

ভিটামিন ডি: রোদ বা সূর্যালোক ভিটামিন নামে পরিচিত ভিটামিন ডি আমাদের দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে এবং এলার্জি কিংবা চুলকানির মত সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি সাধারণত আমাদের ত্বকের এপিডার্মিসে থাকে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বকের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু যদি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে ব্রণ,বলিরেখা এবং সুক্ষ রেখার মতো সমস্যাগুলো দেখাবে এমনকি এলার্জি কিংবা চুলকানির সমস্যা সৃষ্টি হয়।

তাই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করুন। এছাড়াও সূর্যের আলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় তাই ভিটামিন ডি এর অভাবকে পূরণ করতে কিছু কোন সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকুন। পাশাপাশি আপনি চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট বা ট্যাবলেট খেতে পারেন।

ভিটামিন ই: ভিটামিন ই আমাদের পক্ষে হাইড্রেট রাখতে এবং প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন ই এর অভাব হলে আমাদের প্রধান ও বার্ধক্যের সমস্যা গুলো দেখা দেয় এমনকি ত্বক ফেটে যাওয়া ও শুষ্কতার সমস্যার পাশাপাশি এলার্জি ও চুলকানির জন্য অন্যতম দায়ী হচ্ছে ভিটামিন ডি। এছাড়াও ভিটামিন ই কে লিপিডের জন্য তেলের ভিত্তি ধরা হয়।

তাই আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই এর দরকার ত্বকের ফাটল রোধ করতে এবং চুলকানি এলার্জি সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পেতে। এর জন্য আপনাকে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যেমন সূর্যমুখীর বীজ,বাদাম জাতীয় খাবার,গোলমরিচ,কুসুম ও সোয়াবিন তেল আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে।

ভিটামিন সি: আমাদের পক্ষে রক্ষা করতে ভিটামিন সি বেশ কার্যকারী। আপনার শরীরে যদি ভিটামিন সি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আপনার আক্রান্ত হতে পারে এবং চুলকানি ও এলার্জির মত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। ভিটামিন সি এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং কোলাজেন আমাদের ত্বককে রক্ষা করে থাকে।

এছাড়াও ভিটামিন সি আমাদের ত্বককে আদরও রাখতে সাহায্য করে এবং শুষ্কতা কমে আনে। তাই এলার্জি কিংবা চুলকানির মত সমস্যাগুলোর পাশাপাশি ত্বকের সুরক্ষার জন্য আপনাকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি ফলমূল বিশেষ করে টক জাতীয় ফলগুলো গোলমরিচ, স্ট্রবেরি ও ব্রকলি আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে এগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

জিংক: সোরিয়াসিস, শুষ্ক মাথার ত্বক ও এটোপিক ডারমা টাইটিস এর মত সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে জিংক আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকা জরুরী। এছাড়াও এলার্জি কিংবা চুলকানির মত সমস্যাগুলো দূর করতেও এর কার্যকারিতা রয়েছে।

যদি আপনার শরীরে জিংক এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে আপনার ত্বক বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই জিংকের অভাবকে পূরণ করতে অবশ্যই আপনাকে ঝিনুক,লাল মাংস,মুরগি,কার্বোহাইড্রেট, লবস্টার,মটরশুটি ও বাদাম জাতীয় খাবার আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে।

লেখকের মন্তব্যঃকোন ভিটামিনের অভাবে আপনার শরীর দুর্বল অনুভূত হয়

আশা করছি কোন কোন ভিটামিনের অভাবে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়, শরীরে দুর্বলতা অনুভব হয় এবং এলার্জি কিংবা চুলকানির মত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আর্টিকালি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন। আর্টিকালি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধব দের মাঝে শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আর্টিকেলটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। অবশ্যই যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহনের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪